“নারী শিক্ষা উন্নয়নে উন্নত নারী শিক্ষাঙ্গণ”
গৌরবময় পুন্ড্র সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র ছিল পুন্ড্র নগর (মহাস্থান)। এই অগ্রবর্তী প্রাচীন জনপদই কালক্রমে পরিনত হয়েছে বগুড়া জেলা শহরে। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় করতোয়া নদীর পূর্বপারে অবস্থিত বগুড়া জেলার একটি উপজেলা গাবতলী। অত্র উপজেলার মধ্যে যতোগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে তার মধ্যে গাবতলী মহিলা কলেজটি উজ্জল নক্ষত্রের মতো স্বমহিমায় উদ্ভাসিত। ১৯৯৯ সালে বগুড়া-সারিয়াকান্দি সড়কের পাশে গাবতলী পৌর এলাকার মধ্যে এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৪ সালে গাবতলী মহিলা কলেজটি এমপিও ভুক্ত হয়। গাবতলী-শাহজাহানপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জনাব মো: হেলালুজ্জামান তালুদার লালু নারী শিক্ষার উন্নয়নের লক্ষ্যে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন।
বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার এই ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি অভিভাবক ও সুধী সমাজের প্রসংশা এবং দৃষ্টি আকর্ষন করতে সমর্থ হয়েছে। এখানে শিক্ষার সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ, দক্ষ ও মেধাবী শিক্ষক-শিক্ষিকামন্ডলী এবং আধুনিক সুদক্ষ কলেজ পরিচালনা পরিষদের তত্বাবধানে ছাত্রীরা প্রকৃত শিক্ষা ও সৃজনশীলতা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছে। সর্বোপরি নিরাপদ, কোলাহল মুক্ত পরিবেশে ছাত্রীরা নিবির্ঘে যথাসময়ে প্রত্যেকটি পরিক্ষায় আশানুরুপ ফল লাভ করছে।
গাবতলী মহিলা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মানবিক, ব্যবসা শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিভাগ, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচ.এস.সি-বি এম (বিএমটি)এবং স্নাতক বা ডিগ্রি পর্যায়ে বিএ, বিএসএস, বি.কম ও বিএসসি (পাস) কোর্স চালু আছে। অতিসত্তর কিছু বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু প্রক্রিয়াধীন আছে।
কলেজটিতে বিভিন্ন বিভাগের ফলাফল ঈর্ষনীয়। প্রতিটি বিভাগেই একাধীক ছাত্রী A+ অর্জন করছে। লেখাপড়ার সুবিধার্থে কলেজে রয়েছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বইসহ বিশাল লাইব্রেরী, বিষয় ভিত্তিক অত্যাধুনিক বিজ্ঞান গবেষণাগার। রয়েছে ইন্টারনেট সংযোগসহ আধুনিক ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব।ছাত্রীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি এ কলেজে শারীরিক ও মানষিক বিকাশের লক্ষ্যে খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার উপযুক্ত ব্যবস্থা ও পরিবেশ। কলেজে রয়েছে ৫০০ আসন বিশিষ্ট ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম সমৃদ্ধ হল রুম। আছে নামাজের ব্যবস্থা ও সততা স্টোর এবং ক্যান্টিন। কলেজে লেখা পড়ার সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশের জন্য এই কলেজের সুনাম রয়েছে চারিদিকে।